টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে নোয়াখালীর ৯ উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাসা বাড়িতে পানি ওঠায় নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভোর ৬টা পর্যন্ত গেলো ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস।
স্থানীয়রা জানান, টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে পুরো নোয়াখালী জেলাজুড়ে। জেলার সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর উপজেলার বেশিরভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে আমন ধানের বীজতলা। এ ছাড়া মাঠে পানি বেশি থাকায় অনেক এলাকার কৃষক খেতে আমন লাগাতে পারছেন না।
বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. ইফতি অভিযোগ করে বলেন, খাল দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করায় পানি নামছে না। স্থানীয়রা চায়, প্রশাসন খুব দ্রুত এসব খাল উদ্ধার করুক। এতে করে পানি দ্রুত নেমে গেলে সব অচলাবস্থা কেটে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, নোয়াখালীতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। যা বিগত ২০ বছরেও হয়নি। এছাড়া জোয়ার থাকায় পানি নামতে পারছেনা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন অবৈধ বাঁধ কেটে পানি স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় বন্যাকবিলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পানি কমে গেলে প্রতিষ্ঠান চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আই/এ