মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের জেরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়ার ৭ বছর পূর্ণ হয়েছে। সে দিনের বিভীষিকাকে স্মরণ করে এক সমাবেশ থেকে আবারও নিজ দেশে ফেরত যাওয়া আকুতি জানিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
রোববার (২৫ শে আগষ্ট) মিয়ানমারের ফেরত যাওয়ার আশায় কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে এই সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা তাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, ভিটে মাটি ফেরত ও সম্মানের সাথে মিয়ানমারে ফেরত নিয়ে যাওয়ার আকুতি জানান। এর আগে আজ ভোর থেকে ব্যানার,ফেস্টুন নিয়ে উখিয়া ১৩ ও ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খেলার মাঠে জড়ো হতে থাকে রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ এবং ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বনভূমিতে আশ্রয় নেয়।
জানা যায়, আগে থেকে আশ্রয় নেওয়া সাড়ে তিন লাখসহ বর্তমানে ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজারের ৩৩টি আশ্রয় ক্যাম্পে বসবাস করছে। কবে তারা স্বদেশে ফিরবে তা এখনও অনিশ্চিত।
এ বিষয়ে সরকারের শরণার্থী বিষয়ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিন্তু ৭ বছর হয়ে গেলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোনো অগ্রগতি হয়নি। অন্যদিকে মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসন নামে নাটক চালাচ্ছে। বিশ্ব নেতারাও সব অভিযোগ শুনার পর নিরবতা পালন করছে।
এদিকে, দিনের পর দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে জন্মহার। সরকারি বা এনজিওর জরিপ মতে ১২ লাখ রোহিঙ্গা ধরা হলেও ছয় বছরের তার অধিক বেড়েছে। তাই দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা জরুরী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
আই/এ