অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকায় একটি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী সংস্থা এবং একজন বেসামরিক নিরাপত্তারক্ষীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ আগস্ট) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এবারের নিষেধাজ্ঞায় হাশোমার ইয়োশ নামে একটি সংস্থা এবং নাবলুসের দক্ষিণে ইতিজার বসতির বেসামরিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ইতজাক লেভি ফিলান্টকে টার্গেট করা হয়েছে। হাশোমার ইয়োশ নিজেদের একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা হিসেবে দাবি করে যাদের লক্ষ্য পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি কৃষকদের সুরক্ষা দেয়া।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, পশ্চিম তীরে উগ্রপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা তীব্র মানবিক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সহিংসতা ইসরায়েলের নিরাপত্তার ক্ষতি করে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করে।
পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সহিংসতায় জড়িত যেকোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ইসরায়েল সরকারের জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনি গ্রাম খিরবেত জানুতায় বেড়া দিয়েছিল হাশোমার ইয়োশ। এর কারণে ওই গ্রামের বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে ফিরতে বাধার মুখে পড়েন। বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সংস্থাটি ইসরায়েল সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে।
এ ছাড়া ইতজাক লেভি ফিলান্টের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, তিনি ক্ষতিকারক কার্যকলাপে জড়িত। চলতি বছরের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া ও আক্রমণ করতে তিনি সড়কে বেরিকেড এবং টহল দেন।
এই নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলান্ট এবং হাশোমার ইয়োশের সম্পদ জব্দ করা হবে। আমেরিকান নাগরিকরা তাদের সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না। যদিও বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাঁদা তুলে আসছে হাশোমার ইয়োশ।
কেএস//