নিখোঁজ হওয়া রাশিয়ার হেলিকপ্টারটির ২২ আরোহীর মধ্যে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকীদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে। অন্য আরোহীরাও নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছে রাশিয়ার ফেডারেল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি।
সোমবার(২ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি এ তথ্য জানিয়েছে।
আরআইএ নভোস্তি জানায়, আকাশ থেকে প্রথমে নিখোঁজ হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা হয়। সর্বশেষ যোগাযোগ করা স্থানের পাশেই হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। ওই স্থানটি ভূপৃষ্টের ৯০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
প্রসঙ্গত, শনিবার(৩১ আগস্ট) দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপে হেলিকপ্টারটি নিখোঁজ হয়। হেলিকপ্টারটিতে তিনজন ক্রু ও ১৯ জন যাত্রী ছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে ভাচকাজেটস আগ্নেয়গিরির কাছে একটি বেস ক্যাম্প থেকে কামচাটকার নিকোলভা গ্রামের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয় হেলিকপ্টারটি। এমআই-৮টি মডেলের হেলিকপ্টারটি। গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর আগেই হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পরই এটির খোঁজে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার নামানো হয়।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিমান পরিবহন সংক্রান্ত কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবে কমিটি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তা ছাড়া ওই সময় ঘন কুয়াশাও ছিল। ১৯৬০-এর দশকে ডিজাইন করা দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই মডেলের হেলিকপ্টার রাশিয়া ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
এমআর//