রাজনীতি

দেশে সকল বৈষম্যের কবর রচনা হোক: জামায়াতের আমির

বায়ান্ন প্রতিবেদন

দিনাজপুরে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোন জাতি বা গোষ্ঠির নয়, এ আন্দোলন আপামর জনতার। যদি কেউ এ আন্দোলনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ তা রুখে দেবে। বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে জেলা জামায়াতের আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত রুদ্র সেনসহ হতাহত ব্যক্তিদের জন্য সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এমন একটি দেশ আমরা গঠন করতে চাই, যে দেশে জাতি, দল, ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ একসাথে শান্তিতে বসবাস করবে। 

জামায়াতে আমির বলেন, এ দেশের মানুষ বিশ্বের যেখানেই যাক গর্বের সাথে বলবে আমি একজন বাংলাদেশি। যারাই জন্মগতভাবে এ দেশে জন্মগ্রহণ করবে, তারা এ দেশের সৌভাগ্যবান নাগরিক। আমার বাড়িতে-মসজিদে যদি পাহারা না লাগে, তাহলে হিন্দু বন্ধুদের বাড়িতে-মন্দিরে পাহারার প্রয়োজন হবে কেন। আমরা এই ধরনের কোনো বৈষম্য চাই না। আমাদের সন্তানেরা যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গেছে, এর মাধ্যমে সকল প্রকার বৈষম্যের কবর রচনা হোক।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাতজনের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে দেন জামায়াতের আমির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতের আমির আনিসুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, জেলার সাবেক আমির আফতাব উদ্দিন মোল্লা, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য সিরাজুস সালেহীন প্রমুখ।

সকাল ৯টার দিকে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে হেলিকপ্টার থেকে নামেন জামায়াতের আমির। এরপর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শহরের পাহাড়পুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে নিহত শিক্ষার্থী রুদ্র সেনের বাড়িতে যান। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

 

এসি//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন জামায়েতে ইসলামী | বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন