কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার হওয়া আরও দুই শিক্ষকের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২ অক্টো বর) সকালে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিয়াল ম্যাগজিস্ট্রেট সুমন আলী তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন ও ভূরুঙ্গামারী আমলী আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) সিরাজুল ইসলাম।
রিমান্ডে নেয়া ওই শিক্ষক দু’জন হলেন- ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক জোবায়ের হোসেন।
এদিকে, তিনদিনের রিমান্ড শেষে কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লৎফর রহমানকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আমলী আদালতের জিআরও সিরাজুল ইসলাম জানান, লুৎফর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ওসি বলেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লৎফর রহমানসহ ওই স্কুলের পাঁচ শিক্ষক এক পিয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আরও দুই শিক্ষককে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যগ আবেদন করা হলে আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান শিক্ষককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যর পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই বাছাই চলছে।
এছাড়া মামলায় এজাহার নামীয় অপর আসামি ও ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পলাতক অফিস সহকারী আবু হানিফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ সেপ্টেম্বর চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার দিন ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লৎফর রহমানের কক্ষ থেকে ছয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বিষয়গুলোর পরীক্ষা তখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, কৃষি ও রসায়ন- এই চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিতসহ ছয় বিষয়ের প্রশ্ন বাতিল করে শিক্ষা বোর্ড।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লৎফর রহমান, ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক জোবায়ের হোসেন এবং অফিস সহকারী আবু হানিফের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানসহ পাঁচ শিক্ষক ও এক পিয়নকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পলাতক রয়েছে অফিস সহকারী আবু হানিফ।
তাসনিয়া রহমান