বিকেলে চায়ের সঙ্গে স্বাদ একটু বদলানো গেলে ভালোই লাগে। তাই বানিয়ে ফেলুন ঝাল ঝাল খাস্তা কচুরি। তার জন্য আলু কিংবা ডাল কিছুই লাগবে না। শুধু এক কাপ চিঁড়ে আর আটা হলেই বানিয়ে ফেলা যাবে এই মুখরোচক স্ন্যাক্সটি। সঙ্গে লাগবে কয়েকটা ঘরোয়া মশলা।
চিঁড়ের খাস্তা কচুরি ডো-এর জন্য লাগবে
সুজি- ২ টেবিল চামচ
পানি- ৩/৪ কাপ
লবণ- ১ চা চামচ
ঘি- ১ টেবিল চামচ
চিলি ফ্লেক্স- ১ চা চামচ
জোয়ান- ১/৪ চা চামচ
সাদা তিল- ১ চা চামচ
ধনে পাতা মিহি করে কুচোনো- ১ মুঠো
আটা- ১ কাপ
পুরের জন্য লাগবে
মোটা ঝুরি ভাজা- ১/২ কাপ
চিঁড়ে- ১কাপ
সর্ষের তেল- ২ টেবিল চামচ
হিং- ১ চিমটি
গোটা সর্ষে- ১ চা-চামচ
গোটা জিরে- ১ চা-চামচ
মৌরি- ১/২ চা-চামচ
গোটা ধনে- ১ চা-চামচ
কুচোনো রসুন- ৫-৬ কোয়া
বেকিং সোডা- ১/৪ চা চামচ
মরিচের গুঁড়ো- ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা-চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো- ১ চা চামচ
লবণ- ১ চা চামচ
পেঁয়াজ- ২টি (মিহি করে কুচোনো)
কাঁচা মরিচ- ৩-৫টি (মিহি করে কুচোনো)
আমচুর পাউডার- ২ চা চামচ
প্রণালী:
১. প্রথমে ডো তৈরি করে নিন। একটি পাত্রে প্রথমে সুজি এবং পানি নিন। পানিতে পাঁচ মিনিট সুজিটা ভিজতে দিন। ততক্ষণে বাকি উপকরণগুলি প্রস্তুত করে ফেলুন। এবার এতে লবণ, ঘি, চিলি ফ্লেক্স, জোয়ান, সাদা তিল, মিহি করে কুচোনো ধনে পাতা দিয়ে ভালো করে মেখে নিন।
২. সব শেষে আটা দিয়ে ময়ান দিতে থাকুন। কম করে পনেরো মিনিট ধরে আটা ময়ান দিতে হবে।
৩. এবার আটার মধ্যে ভালো করে তেল মাখিয়ে নিন। ডো-এর পাত্র ঢাকা দিয়ে আধ ঘণ্টা আলাদা করে রাখুন।
৪. পুরের জন্য প্রথমে ঝুরি ভাজাটা মিক্সিতে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। ঝুরিগুলো মোটা আকারের হলেই ভালো।
৫. চিঁড়ে ভালো করে পানিতে ধুয়ে নিন। পানি ঝরিয়ে হাত দিয়ে মিহি করে মেখে নিন।
৬. কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে তাতে হিং, গোটা সর্ষে, গোটা জিরে, মৌরি এবং গোটা ধনে ফোঁড়ন দিন।
৭. পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচ কুচি এবং সমস্ত মশলা দিয়ে ভাজুন। মশলা ভালো করে মিশে গেলে তাতে বেকিং সোডা দিয়ে ভাজতে থাকুন। এতে চিঁড়ে মাখা এবং ঝুরি ভাজা গুঁড়ো দিয়ে ভাজতে থাকুন।
৮. পুর ঠান্ডা করে নিন। অন্যদিকে আধ ঘণ্টা পর ডো কেটে কেটে লেচি তৈরি করে নিন।
৯. প্রতিটি লেচিতে পুর ভরে কচুরির আকার দিন। মিডিয়াম আঁচে ডুবো তেলে কচুরি ভেজে নিন।
কেএস//