বিএনপি

যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের জন্য মঙ্গল: মির্জা ফখরুল

বায়ান্ন প্রতিবেদন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছবি: সংগৃহীত

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থায়ীভাবে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। আরও যেসব বিষয় সংস্কার করা প্রয়োজন, এসব সংস্কারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করে একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এ জন্য একটা যৌক্তিক সময় বর্তমান সরকার নিতে পারে। বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি নেতা প্রয়াত হান্নান শাহর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যৌক্তিক সময় মানে এই না যে, তারা অনেক বেশি সময় নিয়ে নেবে। যত দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল হবে। সুতরাং দ্রুত সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে একটি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচিত সংসদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। 

 মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিল। তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল। গণতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। নির্বাচন বলতে কিছুই ছিল না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলুন, উপজেলা নির্বাচন বলুন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বলুন, কোনোটাই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় নাই। 

শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনও দেশের সংকট কেটে যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তার সরকারের লোকজন সবাই ভালো মানুষ। এ সরকার সংস্কার চায় এবং আমরাও সংস্কারে বিশ্বাসী। 

মির্জা ফখরুল বলেন, সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে তারেক জিয়াকে দেশে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দেশের সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেয়া মামলাও অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এ সকল মামলাগুলো প্রত্যাহার করা না হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের জেলা, উপজেলাসহ সব স্থানে আমাদের নেতা–কর্মীদের নামে যত মিথ্যা হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়েছে, সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এটা আমাদের দাবি। এটা এ দেশের জনগণের দাবি। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে কষ্ট হয়, দুঃখ হয়। গত ১৬ বছরে আমাদের এক হাজার নেতা–কর্মীকে গুম করা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ নেতা–কর্মীকে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতা–কর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারেনি।

এএম/ 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নির্বাচন | সংস্কার | দেশ