বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার অন্যতম মদদদাতা বিশ্ববিদ্যালয়টির (জবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জবি ক্যাম্পাস থেকে তাকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলার মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হলে দেখা যায়, ফরিদ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন।’ শেখ হাসিনার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ফরিদ উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ ইসলাম বলেন, সকালে ক্যাম্পাসে ওই শিক্ষক আসলে আমরা তাকে চিনতে পারি। শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় সহযোগিতা করায় তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটা মামলা আছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক গণমাধ্যমে বলেন, শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ওপর হামলার ঘটনায়। তিনি এখন আমাদের হেফাজতে আছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য নুরুল আলমকে প্রধান করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম। মামলায় হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।
এএম/