সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসি নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টটি কতটুকু সত্য তা সরকার খতিয়ে দেখছে। সরকার ফ্রিডম অব প্রেসে বিশ্বাসী। এ বিষয়ে হাই লেভেল কমিটি হবে। পত্রিকাগুলো তাদের নিউজ প্রেজেন্টেশনে কোনোরকম ডিজ-ইনফরমেশন ছড়াবে না বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। কমিটিতে সিনিয়র কিছু জার্নালিস্টকে সরকার যুক্ত করছে চাচ্ছে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, বিভিন্ন পোশাক কারখানায় অনেক প্রতিবাদ হচ্ছে। সেই আলোকে এটা নিয়ে বিস্তৃত আলাপ হয়েছে। শ্রমিক ভাই-বোনদের যে দাবি সেই বিষয়ে যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। সামনে ভালো কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রাষ্ট্র সংস্কার কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, পাঁচটা কমিশন গঠনের কাজ মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। এখন শুধু ঘোষণা বাকি। একটা কমিশনের দুই-একজনের নাম বাকি আছে। এক থেকে দুদিনের দিনের মধ্যে সেটাও চূড়ান্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি দেশের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি হওয়ার কথা। একটা হচ্ছে মালদ্বীপের সঙ্গে, আরেকটা কাতারের সঙ্গে। এ চুক্তি হলে বাংলাদেশি ভাই-বোন যারা কাতার বা মালদ্বীপে আটক হয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনা যাবে।
রাষ্ট্রদূতদের ঢাকায় আনার বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, মূলত অবসর প্রক্রিয়াধীন থাকায় দুজন হাইকমিশনার ও চারজন রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফেরার জন্য বলা হয়েছে।
আই/এ