বাংলাদেশ

টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলাদেশের নাহিদ

বায়ান্ন প্রতিবেদন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ছবি: সংগৃহীত

টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের ‘টাইম-১০০'-তে নাহিদ ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি।

গেলো বুধবার (২ অক্টোবর) এই তালিকা প্রকাশ করে টাইম ম্যাগাজিন। ১৯৯৯ সাল থেকে নিয়মিত এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে।

টাইম ম্যাগাজিনে নাহিদকে নিয়ে লেখা হয়েছে, ‘বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে নামিয়ে আনতে নাহিদ ইসলামের বয়স ২৬ বছরের বেশি হতে হয়নি। সমাজবিজ্ঞানের এই স্নাতক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ। অনেক প্রতিবাদী নেতার মধ্যে একজন, তিনি দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে নির্যাতিত হওয়ার পরে আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এর কিছুদিন পরই তিনি শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি পৌঁছে দেন: হাসিনাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

টাইম লিখেছে, নাহিদ ইসলাম বলেন, কেউ ভাবেনি তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

ম্যাগাজিনটি আরও লিখেছে, তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়তো সামনে অপেক্ষা করছে। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই ‘জেন-জেড উপদেষ্টা’র মধ্যে নাহিদ ইসলাম একজন। তাদের কাজ: ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে ক্ষয়িষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মেরামত করা।

ম্যাগাজিনে উল্লেখ করা হয়েছে, নাহিদ বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে পরিচিত হয়ে ওঠেন নাহিদ ইসলাম। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে প্রধান ভূমিকা রাখেন তিনি। বিশেষ করে গত ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে লাখো জনতার সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন নাহিদ। আর সেই এক দফা দাবি হলো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পদত্যাগ। ওই আন্দোলনেই গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তিনি। এরপর থেকেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন নাহিদ। 

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন প্রভাবশালী | টাইম ম্যাগাজিন