আজকের শিশুরাই আগামী জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তাদের সুরক্ষা, শিক্ষা এবং বিকাশ নিশ্চিত করা আমাদেরই দায়িত্ব। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু শিশুই অমানবিক জীবনযাপন করছে। পরিবার ছাড়া এই শিশুরা পথে পথে বেড়ে উঠছে। তারা না পাচ্ছে শিক্ষা, না পাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়। তাই শিশুদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে বাবা-মা সহ সমাজের সকলেরই কিছু দায়িত্ব রয়েছে।
আসুন জেনে নেই শিশুর জন্য নিরাপদ ও সুস্থ ভবিষ্যৎ গড়তে কী কী করতে হবে-
১. শিশুদের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করুন : অনেক পথশিশুই পরিবার, আশ্রয়, এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ও সমাজের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে সোচ্চার হওয়া জরুরি।
২.শিক্ষার আলোর ব্যবস্থা করুন : প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা একটি মৌলিক অধিকার। দরিদ্র শিশুদের জন্য সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার বিনামূল্যে শিক্ষা প্রকল্প চালু করতে হবে। এছাড়া, ঘরে ঘরে যারা শিশুদের কাজে রাখেন, তাদেরও তাদের পড়াশোনার জন্য সহযোগিতা করা উচিত।
৩.নির্যাতিত শিশুদের পাশে দাঁড়ান : শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে শিশুরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে ভালোবাসা এবং মানসিক সহায়তা দিতে হবে। তারা যেনো নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে, সেজন্য পরিবার এবং সমাজের সবার পাশে দাঁড়ানো উচিত।
৪. শিশুদের বিপথগামী হওয়া থেকে বাঁচান : মাদক এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি থেকে শিশুদের দূরে রাখতে সচেতনতা ক্যাম্পেইন চালানো যেতে পারে। শিশুদের মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জানাতে ক্যাম্পিং এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা দরকার। যেন তারা ভবিষ্যতে সঠিক পথে থাকতে পারে।
৫. সমাজের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন : শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। শিশুদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, শিক্ষা, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বা এলাকা ভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র ও অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়াতে পারি আমরা।
শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অভিভাবক, শিক্ষক, এবং সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। একটি জাতির ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে তার শিশুদের হাত ধরে। তাই, আসুন আমরা সবাই মিলে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।
জেডএস/