বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে আলিয়া ভাট অন্যতম। একাধিক চরিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেছেন তিনি। কিন্তু একটা সময় নিন্দুকেরা দাবি করেছিলেন, স্বজনপোষণের জন্যই ছবিতে সুযোগ পান আলিয়া। তবে তিনি যে অভিনয়টা ভালোই পারেন, তা বারবার প্রমাণ করেছেন। কিন্তু একটা সময় ভেঙে পড়েছিলেন এ অভিনেত্রী। এতটাই দুঃখ পেয়েছিলেন যে, নিজেকে ঘরে আটকে রেখেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি। এই নির্মাতার ‘ইনশাআল্লাহ’ ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল বলিউড তারকা সালমান খান ও আলিয়া ভাটের। কিন্তু সেই ছবির কাজ কোনো এক কারণে স্থগিত হয়ে যায়। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আলিয়া। ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
বানসালি বলেন, ‘আলিয়া ভেঙে পড়েছিল। খুব কান্নাকাটি করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল। এমনকি নিজেকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছিল।’
বানসালির থেকে অন্য একটি ছবির প্রস্তাব পাওয়ার পর আলিয়া এ অবস্থা থেকে বেরোতে পারেন। আলিয়াকে এর পরেই ‘গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’ ছবির প্রস্তাব দেন তিনি। জানান, এ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে তিনিই অভিনয় করছেন। এ কথা শুনেও অবাক হয়েছিলেন অভিনেত্রী। ‘ইনশাআল্লাহ’ ছবিতে লস অ্যাঞ্জেলেসের এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তার।
সেসময় আলিয়া বানসালিকে বলেছিলেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসের এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল কিন্তু সেখান থেকে আমাকে কামাথিপুরায় নিয়ে চলে এলেন। আমি তো এই চরিত্র সম্পর্কে কিছু জানিই না।’
আলিয়ার যখন ১১ বছর বয়স, তখনই নাকি নিজের একটি ছবিতে তাকে নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন পরিচালক। অবশেষে ‘গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’ ছবিতে আলিয়ার সঙ্গে কাজ করেন বানসালি।
এসআই/