কোটা সংস্কার আন্দোলন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজধানীর বিভিন্ন থানা। পুড়িয়ে দেয়া হয় যানবাহন। ফলে অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হয় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজ। থানার সক্ষমতা বাড়াতে ও পুলিশের পেট্রোলিং কার্যক্রম জোরদার করতে রাজধানীর দশটি থানায় নতুন গাড়ি দেয়া হয়েছে। বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস) হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী।
বুধবার (০৯ অক্টোবর) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে আয়োজিত নতুন গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার। এসময় নতুন ১০টি গাড়ি হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মোঃ শওকত আলী বলেন, আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে ডিএমপিতে নয় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর থানাগুলোর ১৮২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৫৭টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় কাজের গতিশীলতা বাড়াতে রাজধানীর সবগুলোকে থানাকে নিজস্ব নতুন গাড়ি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, পুলিশি কাজে যানবাহন একটি অন্যতম উপকরণ। অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের যানবাহন একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র। এটিকে সামনে রেখেই পুলিশ কমিশনার মহোদয় আমাদের গাড়ির বহরে আরও ৫০টি গাড়ি যুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এই ৫০টি গাড়ির অংশ হিসেবে আজকে আমাদের গাড়ির বহরে ১০টি গাড়ি যুক্ত করবো। পর্যায়ক্রমে আরও ৪০টি গাড়ি যোগ হবে। প্রাথমিকভাবে এই ১০টি গাড়ি আমরা যেসব থানায় হস্তান্তর করব সেগুলো হচ্ছে, উত্তরা পূর্ব থানা, গুলশান, তেজগাঁও, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, কামরাঙ্গীরচর, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মতিঝিল এবং নিউ মার্কেট থানা। আমরা আশা করছি এই গাড়িগুলো যুক্ত হওয়ার সাথে সাথে থানার কর্মকাণ্ড আরও গতিশীলতা লাভ করবে এবং অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখবে।’
আন্দোলনের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের বিষয়ে হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে হিসাব করেছি আমাদের প্রায় ৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। থানায় হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।
এসি//