বলিউড ও রাজনীতির মেলবন্ধনের প্রতীক ছিলেন সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পূর্ব বান্দ্রায় ছেলের অফিসের বাইরে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি । তার কিছুক্ষণ আগেই দশেরা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটে। বলিউডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার। শাহরুখ-সালমানের দীর্ঘ দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন তিনিই। তার মৃত্যুতে স্তম্ভিত তারকারা।। সালমান খান খবর পেয়েই শুটিং ছেড়ে ছুটে গিয়েছিলেন লীলাবতী হাসপাতালে সিদ্দিকিকে শেষ দেখা দেখার জন্য।
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যার পেছনে রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হাত, যারা এর আগেও সালমান খানকে টার্গেট করেছিল।
শাহরুখ ও সালমানের সম্পর্ক পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বাবা সিদ্দিকি। ২০১৩ সালে ক্যাটরিনা কইফের জন্মদিনের পার্টিতে শাহরুখ ও সালমানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, যা বলিউডে এক প্রকার বিভাজন তৈরি করেছিল। তখনই মীমাংসার জন্য এগিয়ে আসেন বাবা সিদ্দিকি। সেই থেকেই বলিউডে তাঁর একটি বিশেষ স্থান ছিল।
বাবা সিদ্দিকি বলিউডের তারকাদের নিয়ে প্রতি বছর আয়োজন করতেন ইফতার পার্টির। বলিউডের অনেক তারকাই নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন এই জমজমাট আয়োজনে। বলিউডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন তিনি। রাজনীতির মঞ্চে দীর্ঘ পাঁচ দশক কংগ্রেসের সঙ্গে থাকার পর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছিলেন অজিত পাওয়ারের দলে।
বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য।
বলিউডের এই প্রিয় ব্যক্তিত্বের অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অনেকেই। সালমান খানের এই দ্রুত উপস্থিতি দেখিয়ে দেয়, কতটা গভীর ছিল তাঁদের সম্পর্ক।
জেডএস/