সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে বিগত সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোকজন জড়িত ছিল মর্মে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। হত্যকাণ্ডে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরও নাম এসেছে। তদন্তের স্বার্থে নাম বলায় আইনি বাধা থাকায় এখন বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, আলোচিত এ হত্যা মামলার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরে একটি বেসরকারি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিশির মনির বলেন, হত্যকাণ্ডের প্রায় ১২ বছর পর একটা টাস্কফোর্স গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে তদন্তের জন্য। মামলাটি যেহেতু তদন্তে আছে এখন সব কিছু বলা যায় না। শুধু এটুকু বলা যায়, মামলার নথি ঘেটে মনে হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে এখানে। সেই দিক ধরে তদন্ত করতে পারলে এই হত্যাকাণ্ডের শেষ অংশে যাওয়া সম্ভব।
বেশ কিছু সংবেদনশীল মানুষের নাম সামনে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের নাম এসেছে তারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে। তবে সে নামগুলো তিনি এখনই বলছেন না। তবে তার কাছে মনে হয় এখন তদন্তটা সঠিক পথেই আছে। দু’একটি জবানবন্দি আসছে, যেগুলোতে খুবই সংবেদনশীল তথ্য সামনে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, যে কটা তথ্য এসেছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটা ডিএনএ রিপোর্ট। সাগর ও রুনির শরীর থেকে দুজন ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করা গেছে। এই দুজন ব্যক্তি কে তা খোঁজা হচ্ছে।
গণমাধ্যমের একটা বড় প্রতিষ্ঠান বা গণমাধ্যমকর্মীর নাম সামনে আসা প্রসঙ্গে এ আইনজীবী বলেন, অপরাধের সঙ্গে তো আর প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকে না, অপরাধের সঙ্গে সাধারণত ব্যক্তি জড়িত থাকে। তবে গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের বাইরে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী যাদের নাম এসেছে, এটা ক্রসচেক করতে হবে। ক্রসচেক করে যদি পাওয়া যায় তবেই নাম প্রকাশ করা হবে।
আই/এ