নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে মহামারিতে একজন লোকও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়। এমনটাই প্রত্যাশা জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেশের মানুষের চাহিদা অনেক বেশি। এই সরকারের আমলে মহামারিতে একজন লোকও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।
এ সময় তিনি বলেন, প্রশাসনে এখনও অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ জন পুলিশের উপপরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেয়া হচ্ছে খবর পাচ্ছি। তারা কেউ নিরপেক্ষ নন। তারা হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এসব পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, যে পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, সেই সব পুলিশ কীভাবে এখনও প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুলিশের ২০০ এসআই কীভাবে এখনও হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে? এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থান সফলে ছাত্র-জনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন। আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিল, ‘স্যার একজন মরে, আরও দুইজন দাঁড়িয়ে যায়।’ এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ ছাড়া শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।
লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা আমিনুল হক, এস এম জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এসি//