আইন-বিচার

আগাম জামিন পেয়েছেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না

বায়ান্ন প্রতিবেদন

রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আগাম জামিন পেলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন জেড আই খান পান্না। পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত এ মামলায় জামিনে থাকবেন তিনি। 

সোমবার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রোববার আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন জেড আই খান পান্না।

সোমবার আদালতে পান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম,  আলী আহমেদ খোকন,  মোহাম্মদ শিশির মনির ও  মোহাম্মদ হোসেন। 

জামিন পেয়ে গণমাধ্যমকে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘জামিন পেয়েছি তবে মুখ ও বিবেক বন্ধ হবে না।’ 

এর আগে, গেলো ১৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। গেলো জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন তার বাবা মো. বাকের।

ওই মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ মামলার ৯৪ নম্বর আসামি। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গেলো ১৯ জুলাই খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিমে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন বাদী মো. বাকেরের ছেলে মো. আহাদুল ইসলাম। এ সময় পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং ১৪-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ককটেল ও সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটান এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে এ গুলি চালানো হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। সেখানে আহাদুল ইসলাম বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পরে সন্ত্রাসীরা তাকে লাঠিপেটা করে।  

 

এসি//