তুর্কি সুপার লিগে ত্রাবজোনস্পোরের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জয়ী হয় জোসে মরিনিও’র ক্লাব ফেনেরবাচে। রোববার (৩ নভেম্বর) রাতের ম্যাচে কম নাটকীয়তা তৈরি হয়নি। মরিনিও নিজে উদযাপন করেছেন, পাশাপাশি বিরক্ত হয়ে নানারকম কথা বলেছেন।
প্রতিপক্ষ ত্রাবজোনস্পোর যে দু’টি গোল করেছে, দুইটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে। এতে লিড হারিয়ে বসে ফেনেরবাচে। এরপর ৭৫ মিনিটে আসা গোলে সমতায় ফেরে তুর্কি ক্লাবটি। শেষদিকে যোগ করা সময়ের ১২ মিনিটের মাথায় সোফিয়ান আমরাবাতের গোলে ৩-২ ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফেনেরবাচে।
ম্যাচের পর উদযাপনে সবার আগে দেখা গেল কোচ মরিনিওকে। হাঁটু গেড়ে স্লাইড দিতে গেলেন মাঠের মধ্যে। ৬১ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ কোচের ব্যাপারে ফুটবল ভক্তরা খোঁজখবর রাখলে জানবেন, তার নানারকম কাণ্ডের কথা।
ম্যাচের পর ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন মরিনিও। এটা ঠিক মন্তব্য নয়, পরিস্কার বিরক্তি বা সমালোচনা। ফেনেরবাচের বিপক্ষে হওয়া দুইটি পেনাল্টি নিয়ে আপত্তি আছে তার। তুর্কি লিগ সম্পর্কে মরিনিও বলেন, আগে যদি এমন জানতেন তবে তিনি এখানে আসতেন না, 'আমি ফেনেরবাচের মানুষদের দোষারোপ করছি, যারা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। তারা আমাকে অর্ধেক সত্য জানিয়েছে, আমাকে পুরো সত্য বলেনি। যদি তারা আমাকে পুরো সত্য বলত, আমি এখানে আসতাম না।'
মরিনিও বলেন, 'অর্ধেক সত্য নিয়েও আমরা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সে (ভিআর আতিলা কারাওগ্লান) দুইটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেগুলো মাঠের রেফারি দেয়নি। আর আমাদের যখন পেনাল্টি হওয়ার কথা, তখন সে সেটা দেয়নি। তাই আমার কাছে ম্যাচসেরা আতিলা কারাওগ্লান।'
আতিলা কারাওগ্লান দৃশ্যের বাইরে থেকেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলেন বলে মন্তব্য করেন মরিনিও।
এম এইচ//