বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করছে। সাভার, আশুলিয়া এবং জিরানি এলাকার ৪০১টি কারখানার মধ্যে ১২টি পোশাক কারখানা আজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিজিএমই এর আওতায় থাকা বাকি কারখানা খোলা আছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিজিএমইএ ও শিল্প পুলিশ এ তথ্য জানায়।
শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় কর্মীরা গেল সপ্তাহখানেক ধরেই সড়ক অবরোধ করে অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখে। রাতে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলেও চতুর্থ দিনের মতো আজ সকাল থেকে পুনরায় ওই সড়ক অবরোধ করে এক মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে।
বিজিএমইএ জানায়, বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অর্থাৎ শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ রাখা হয়েছে চারটি কারখানা। এছাড়া কাশিমপুর এবং জিরানি এলাকার বেক্সিমকো গ্রুপের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বাধার কারণে ওই এলাকার ১১টি কারাখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পোশাক মালিকদের এ সংগঠনটি আরও জানায়, বিজিএমইএ জানায়, বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিভিন্ন কারখানায় হামলা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আরও ১০টি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ডরিন গার্মেন্টস, ডরিন অ্যাপারেলস এবং ডরিন ফ্যাশনে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। এছাড়া সারাবো ও জিরানি এলাকায় আইআরআইএস ফ্যাব্রিক্স, কে এ সি কম্পোজিট, এক্সাকো লিমিটেড, ওয়াই পি গাজীপুর লিমিটেড, হামিম গ্রুপের দ্যাটস ইট নিটওয়্যার, অটো টেক লিমিটেড এবং উত্তরা নিটওয়্যারের কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া আশুলিয়া এলাকায় ‘সাদাতিয়া সোয়েটার’ নামে একটি কারখানা বন্ধ আছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলছেন, বকেয়া বেতন প্রদানে আশ্বাস না পেলে এবং কারখানা খুলে দেয়ার দাবি আদায় না হলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে যাবেন না।