বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এআর রহমান এবং তার স্ত্রী সায়রা বানু তাদের ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে এই খবর প্রকাশ্যে এলে বলিউড ও সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হলেও সায়রার আইনজীবী স্পষ্ট করে জানান, সম্পর্কের দীর্ঘদিনের তিক্ততাই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ।
রহমান-সায়রার বিচ্ছেদের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আরেকটি বিচ্ছেদের খবর জানা যায়। রহমানের ব্যন্ড সহযোগী ও নামকরা বেস গিটারিস্ট মোহিনী দে নিজের সুরকার স্বামীর সঙ্গে আলাদা হওয়ার খবর দেন। এই কাকতালীয় ঘটনায় অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে শুরু করেন। সমাজের একাংশ মনে করেন, মোহিনীর কারণেই ভেঙেছে রহমান-সায়রার সম্পর্ক।
তবে সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি জানান, রহমান ও সায়রা নিজেদের সম্মানের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উভয় পক্ষই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
বিচ্ছেদের পর সায়রার আইনজীবী আরও জানান, রহমান ও সায়রার বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। তারা একে অপরকে সবসময় সম্মান করবেন।
মোহিনীর নাম জড়িয়ে যে গুজব ছড়াচ্ছেন, তা নিয়েও সরাসরি মন্তব্য করে এই আইনজীবী জানান, মোহিনীর সঙ্গে রহমান-সায়রার বিচ্ছেদের কোনো সংযোগ নেই। এই বিচ্ছেদ তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেটি মর্যাদাপূর্ণভাবে নেয়া হয়েছে।
আইনজীবী আরও বলেন, যেকোনো দীর্ঘ সম্পর্কের মতোই এ সম্পর্কেও ওঠানামা ছিল। কিন্তু তারা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা তাদের দুজনের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক।
জেডএস/