গেলো ২২ (শুক্রবার) নভেম্বর ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চিত্রনায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুর খবর নিয়ে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। শনিবার(২৩ নভেম্বর) পরীমনির ফেসবুক পোস্টে জানা যায়, সন্তানসহ তিনি ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে গেছেন। নানা শামসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর এই যাওয়া। শনিবার(২৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চিত হতে থাকে, ‘নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত’। ভাইরাল এই সংবাদ দেখে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত এই নায়িকা।
এবিষয়ে পরীমনি বলেন, ‘কারও মৃত্যু তো হাসি-তামাশার বিষয় নয়। ইসমাইলের মৃত্যু নিয়ে যে যেভাবে পারছেন, খবর প্রকাশ করেছেন। উৎসব উৎসব ভাব মনে হচ্ছে। এটা সত্যিই কষ্টদায়ক। এমনটা মোটেও আশা করিনি।’
ঢালিউডের এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এবার বাড়িতে আসার পরই আমার মা (খালাকে মা বলে ডাকেন পরীমনি) বললেন, ও (ইসমাইল) তো বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করছে।’ আমি বললাম, ‘কী!’ পরে বললেন, ‘ও তো মারা গেছে!’ এলাম নানুভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে, এসে শুনি ইসমাইলের মৃত্যুর খবর! এটা মেনে নেওয়া যে কতটা কষ্টের, বলে বোঝাতে পারব না।’
ঢাকাই সিনেমা এই নায়িকা আরও বলেন, ‘এ জীবনে একমাত্র নানুভাইয়ের মরা মুখটাই শুধু দেখতে পেরেছি। আর কারোটা দেখা সম্ভব হয়নি। ইসমাইলেরও দেখা সম্ভব হয়নি। কবর জিয়ারত করেছি। সেই কবরস্থানে পাশাপাশি আমাদের পরিবারেরই অনেকগুলো কবর। সবচেয়ে নতুন কবর, ইসমাইলের। ওর বাবাসহ আমরা কবর জিয়ারতে গেছি। সবকিছু ছাপিয়ে সে তো আমার আত্মীয়। তাই তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও তো সব সময়ের।’
২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইসমাইলের। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে। গেলো শুক্রবার রাতেই জানাজা শেষে ছোট শৌলা গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এমআর//