আমারা জানুয়ারি মাসে শতভাগ প্রাথমিকে বই দিতে পারব। আগে যেমন উৎসব করে দিতাম এবার উৎসব না হলেও বই দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অনেক বই ছাপানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে রংপুর পিটিআই এ এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকে খুব পরিবর্তন করার মতো কিছু করার ছিল না। ফলে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইয়ের সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান ঘটে গেল তার প্রতিফলন থাকবে গল্পের আকারে, বিভিন্ন ছবির আকারে থাকবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে সমাজে বিভিন্ন মনোভাব প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, বাচ্চাদের সব কিছু শিখিয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু সরকার এটি মনে করে না। প্রত্যেকে মনে করে প্রাথমিক শিক্ষার মান হচ্ছে স্বাক্ষর করে গড়ে তোলা। আসলে স্বাক্ষর মানে তার নিজভাষায় বইয়ের লেখা পড়তে পারা। সরকার মূল টার্গেট কিভাবে বাচ্চাদের আরও শিক্ষা দেয়া যেতে পারে। যেন পঞ্চম শ্রেণির বাচ্চা তার মাতৃভাষা শিখতে পারে এবং যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ এসব করতে পারে।
শিক্ষকদের ইন জেনারেলের মান অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রাইমারি ভৌত অবকাঠামোর অনেকটা উন্নত হয়েছে। যদিও প্রাইমারি স্কুলগুলো জাতীয়করণ করা হয় ২০১৩ সালে, সে ক্ষেত্রে শিক্ষকরা আগে নিয়োগ পেয়েছে। কিন্তু তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সরকারি স্কুলে। সেক্ষেত্রে মানের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। আমাদের নিজস্ব ট্রেনিং চালু আছে, ফলে একজন শিক্ষকের সম্ভাবনা থাকে তাহলে নিজেকে ট্রেইন করে নিয়ে পারফরমেন্স ভালো করার সুযোগ রয়েছে।
আই/এ