ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গুলি করে সাহিদা ইসলাম রাফা নামের তরুণীকে হত্যায় অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযুক্ত তৌহিদ শেখ তন্ময় ঢাকার ওয়ারীর ২২নং বর্ণগ্রাম রোডের মৃত শফিক শাহ ও ময়না বেগমের ছেলে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তার তন্ময়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের একটি পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রিভলবারটি উদ্ধার করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইশতিয়াক রাসেল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ভোলার ইলশা থেকে তন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়। সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে ভোলা মনপুরা দ্বীপে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার তৌহিদকে নিয়ে তরুণীর লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করছে ডিবি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তন্ময়। তার বাড়ি রাজধানীর ওয়ারী এলাকায়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সকালে জেলার শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকার এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন থেকে শাহিদার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার কোমড় থেকে শরীরের ওপরের অংশ ৫ টি গুলির ক্ষত ছিল। এর মধ্যে একটি গুলি মুখ দিয়ে প্রবেশ করে গলা থেকে বের হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
ওই দিন দিবাগত মধ্যরাতে নিহতের মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান আসামি করে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত সাহিদা ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানার বেগুনবাড়ি বরিবয়ান গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় থাকতেন। সাহিদা সঙ্গে তৌহিদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
আই/এ