ফ্রান্সের পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের সরকারের পতন হয়। সরকার পতনের পর বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে জাতির উদ্দ্যেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই বার্নিয়ের উত্তরসূরি নিয়োগ দেয়া হবে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মাখোঁ বলেন, নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত মাখোঁ বার্নিয়েকে এবং তার মন্ত্রিসভাকে দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন।' তিনি আরও বলেন, নতুন সরকারের প্রথম কাজ হবে বাজেট নিয়ে কাজ করা।
মাখোঁ বলেন, 'পাঁচ বছরের জন্য আপনারা আমাকে ম্যান্ডেট দিয়েছেন, এবং আমি সেটি শেষ পর্যন্ত পালন করব'। তার মেয়াদ ২০২৭ সালের মে মাসে শেষ হবে।
এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় বাজেট পাস করানো নিয়ে সংকট তৈরি হয়। উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থী বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব তোলেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে মিশেল বার্নিয়ের সরকারের পতন হয়।
এই ঘটনায় ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশটি গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। বাজেট ঘাটতি এবং আইন প্রণয়ন ক্ষমতায়ও জটিলতা তৈরি হয়েছে। বার্নিয়ের সরকার ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর সবচেয়ে কম সময়ের সরকার হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালো।
সরকারের পতনে উগ্র ডানপন্থি নেতা মেরিন লে পেনের দল ন্যাশনাল র্যালি উল্লাস প্রকাশ করেছে। বামপন্থী ফ্রান্স আনবোয়েড দল প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর পদত্যাগ দাবি করেছে। এতে মাখোঁর ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
জেডএস/