গত দুই-তিন মাসে যে ব্যবসায়িক মন্দা যাচ্ছে এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশকে ইফেক্ট করছে না, ভারতকেও ইফেক্ট করছে। পরিমাণট কিন্তু বেশি না, তবে ইফেক্ট কিন্তু পড়ছে। কলকাতার অর্থনীতি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপ্টার আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, অচলবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো যোগাযোগ স্থাপন। আগামীকাল ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে। এটা স্ট্যান্ডিং মেকানিজম, অস্বাভাবিক কিছু না। প্রতিবছর বাংলাদেশের একজন যান ওপাশে, পরের বছর ওপাশ থেকে একজন আসেন। এটাকে কনসাল্টেশন বলা হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। দুই পক্ষের একটা ফলপ্রসূ আলোচনা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, এটি স্বীকার করতে হবে যে পাঁচ আগস্টের আগে এবং পরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে চেষ্টা করতে হবে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে।
সার্কের কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা পজিটিভ জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সঠিক পদক্ষেপ নিলে এ অঞ্চলের দারিদ্র্য কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে সার্কের কার্যক্রম শুরু করা দরকার। প্রতি বছর সামিট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১০ বছরেও তা হয়নি।
ফোরামের প্রেসিডেন্ট নাসির আল মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন দ্য নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল আওয়াল মিন্টু প্রমুখ।
আই/এ