আন্তর্জাতিক

ইসরাইলকে ফ্রান্সের আহবান

সিরিয়ার সীমান্ত বরাবর বাফার জোন থেকে সৈন্য সরাতে হবে

বায়ান্ন আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সিরিয়ার সীমান্তবর্তী বাফার জোন ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির  সীমান্ত বরাবর বাফার জোনে প্রবেশ করা  ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করার জন্য দেশটিকে আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স।

স্থানীয় সময় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পস্টভাবে জানিয়েছে,  ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সিরিয়াকে ইসরাইলের গোলান হাইটস থেকে আলাদা করা অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ফ্রান্স ইসরাইলকে বাফার জোন থেকে সরে যেতে এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে।ইসরাইল এবং সিরিয়ার মধ্যে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে যে কোনও সামরিক মোতায়েন ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নকরণ চুক্তির লঙ্ঘন বলেও জানিয়েছে ফরাসি সরকার।

তবে ইউরোপের দেশ  জার্মানি এবং স্পেন জেরুজালেমকে তার উত্তর সীমান্তে বর্তমান সংকটকালে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, সিরিয়া সীমান্তের অভ্যন্তরে ইসরাইলের সামরিক অবস্থান ও দখলের নিন্দা জানিয়েছে কাতার, তুরস্ক এবং মিশর।  বিপরীতে, ইসরাইলি নিরাপত্তা উদ্বেগের সাথে সহানুভূতিশীল হয়ে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে এসব হামলায় সমর্থন করেছে।

রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিকে শোষণ করা এবং তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা ইসরাইলের পক্ষে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে দোহা।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে, সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।’

আর মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইসরাইলের আরও সিরিয়ার ভূমি দখলের নিন্দা করে এবং বাফার জোনে আইডিএফের অবস্থানকে একটি নতুন বাস্তবতা প্রয়োগ করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখে।

প্রসঙ্গত, গেলো রোববার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে বিদ্রোহীরা পরাস্ত করার পর একটি প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসাবে গোলান মালভূমির সিরিয়া নিয়ন্ত্রিত অংশে অসামরিক অঞ্চল দখল করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসরাইল-সিরিয়া সীমান্তে ২৩৫ বর্গ-কিলোমিটারের বাফার জোনটি ১৯৭৪ সালে ইসরাইল এবং সিরিয়ার মধ্যে বিচ্ছিন্নকরণ চুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ইয়োম কিপপুর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায় এবং কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।

ইসরাইলের দাবি, তারা সিরিয়ার সংঘাতে জড়িত হবে না এবং ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাফার জোন দখল একটি প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ এবং এটি শুধুমাত্র তার নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সীমিত এবং অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বাফার জোন | সিরিয়া