সভা সমাবেশে বিপুল জনসমাগম দেখে তারা (সরকারি দলের নেতারা) উন্মাদ হয়ে পড়েছেন। গণতন্ত্রকামী লাখো জনতার উত্তাল স্রোত এই বুঝি গণভবনে ঢুকে পড়ল- এমন দুঃস্বপ্ন প্রতি মুহূর্তে মনে হয় আওয়ামী লীগ নেতাদের তাড়া করছে। জনতার দুর্বার আন্দোলনের কথা শুনে হিংস্র হয়ে উঠেছেন তারা। বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের পতনের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে দিগদিগন্তে। জনসভাগুলোতে মানুষ আসছে বানের মতো। কণ্ঠে তাদের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আত্মপ্রত্যয়ের আওয়াজ। বাংলাদেশের মানুষ হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে নিশিরাতের সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। আর তাই লুটপাট-খুন-গুম নির্যাতনে ডুবে থাকা সরকারের নেতারা ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে নির্ঘুম হয়ে গেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, কয়েকদিন ধরে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আবারও নিয়ে যাবার হুমকি দিচ্ছেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এতে প্রমাণিত হলো খালেদা জিয়া ইতিহাসের চরমতম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারারুদ্ধ।
রিজভী আরও বলেন, আইন আদালত যে সরকারের ইশারায় চলে- সেই সত্য নিজেদের মুখেই স্বীকার করেছেন হাছান মাহমুদ ও ব্যারিস্টার তাপস। এতেই বোঝা যায়, বিচারক ও আদালত সর্বোপরি প্রশাসন আওয়ামী লীগের তল্পিবাহকের ভূমিকা পালন করেন।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ভীরু ও কাপুরুষের দল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রটেকশনে গুন্ডা ও সন্ত্রাসীরা বাহাদুরি দেখায়। প্রকৃত সাহসী ও বীরদের কখনোই ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার নজির নেই সারা দুনিয়ায়। যারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশকে ধ্বংস করতে দ্বিধা করে না, তারাই রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও দলীয় গুন্ডাপান্ডাকে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে লেলিয়ে দেয়। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও জনগণকে কাবু করা যায় না। চট্টগ্রামে সমাবেশের সফলতায় সেটিরই প্রমাণ হবে।
রিজভী দাবি করেন, চট্টগ্রামের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতরাত থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কাপুরুষোচিত ও বর্বরোচিত হামলা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবউন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু প্রমুখ।
অনন্যা চৈতী