মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে সমুদ্রের শহর কক্সবাজারে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্টের ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই নেই। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোথাও কোনো খালি রুম নেই।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের তীরজুড়ে পর্যটকদের ভীড়। আগত পর্যটরা বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে ঘোড়ায় চড়ে, ওয়াটার বাইক ও বীচ বাইকে চড়ে সমুদ্র দর্শনে মেতেছেন। কিছু পর্যটক নোনা জলে স্নান করে আনন্দ উপভোগ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনের হোটেলগুলোতে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত কোনো হোটেলে রুম খালি নেই। কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটের পর্যটকবাহী জাহাজের টিকিটও শেষ। বিজয় দিবসের ছুটিতে অবকাশ যাপনের জন্য ভ্রমণ পিপাসু লাখো মানুষ সকাল থেকে কক্সবাজারমুখী হয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলের কক্ষ খালি নেই। অনেক পর্যটক রুম চাইলেও দিতে পারছি না। এই চাপ আগামী তিন দিন পর্যন্ত থাকবে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক শাহী বলেন, ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। সমুদ্র পাড়ে এসে খুব ভালো লাগছে। তবে হোটেলের রুম ভাড়া বেশি।
অপর পর্যটক শাজাহান চৌধুরী বলেন, সন্তানদের পরীক্ষা শেষ। তাদের একটু সময় দিতে কক্সবাজারে এসেছি। এখানে এসে এতো মানুষ দেখবো কল্পনাও করিনি।
এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক এসেছে। তাদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটক হয়রানির অভিযোগে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ( পর্যটক সেল) তানভীর হোসাইন বলেন, কক্সবাজারে লাখো পর্যটক অবস্থান করছে। কোথাও পর্যটকদের থেকে অতিরিক্ত রুম ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
আই/এ