ঢালিউডের নব্বই দশকের দাপুটে নায়িকা তিনি। ঢাকাই সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। নানামাত্রিক চরিত্রে অভিনয় দক্ষতা দেখিয়ে শাবনূর যেভাবে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন, এতে তাকে আদর্শ হিসেবে মানেন এই প্রজন্মের অনেক নায়িকা। বাংলা চলচ্চিত্রের বহু প্রতিভাধর সেই চিত্রনায়িকার আজ জন্মদিন। জীবনের ৪৫টি বসন্ত পেরিয়ে আজ ৪৬ বছরে পা দিলেন।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। যা আজও সিনেমাপ্রেমীদের মনে দাগ কেটে আছে। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্রে আছেন তিনি। বর্তমানে নিয়মিত পর্দায় না থাকলেও এতটুকু জনপ্রিয়তা কমেনি তার।
ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনে নিমিষেই বদলে গেছে শাবনূরের ক্যারিয়ার। কিন্তু অভিনয় দক্ষতায় ইতিহাস গড়া শাবনূরকে এখনও ‘আইডল’মানেন বর্তমান সময়ের অনেক নায়িকাই। তার ৪৬ তম জন্মদিনেও প্রিয় নায়িকাকে স্মরণ করছেন তার শাবনূরভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছেন তারা।
এ দিন জন্মদিন উপলক্ষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের কাজ, ব্যক্তিগত জীবনসহ নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন শাবনূর। সংসার জীবন নিয়ে চিত্রনায়িকা বলেন, আমার আর সংসারী হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া যে কোনো নারীর জন্য ভয়ংকর অভিজ্ঞতা, যে কারণেই বাধ্য হয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হয়েছে। একমাত্র পুত্র আইজানের জন্যই ভবিষ্যতে আর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আক্ষেপ করে শাবনূর বলেন, ক্যারিয়ারে লম্বা এই সময়ে যত ঝড়ঝাপটা আমার ওপর এসেছে পৃথিবীর অন্য কোনো শিল্পীকে বোধহয় এতটা করতে হয়নি। প্রথম সিনেমা ‘চাঁদনী রাতে’র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, সালমান শাহ, রিয়াজ, ফেরদৌস, এক বিদেশি নাগরিককে আমার সঙ্গে জড়িয়ে মিথ্যে সম্পর্কের গুঞ্জন, সালমানের হত্যা/আত্মহত্যার জন্য অভিযুক্ত হওয়া, একাধিকবার এফডিসির বিভিন্ন সমিতি কর্তৃক ব্যান হওয়া, কী ফেস করতে হয়নি আমাকে! একইসঙ্গে পারিবারিক নানা টানাপোড়েনে অতিষ্ঠ ছিল আমার জীবন।
কাজে ফেরা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, গেল বছর ‘রঙ্গনা’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয়ের কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু নানা কারণে চলচ্চিত্রটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। শিগগিরই কাজে ফেরার ইচ্ছা আছে।
ডিভোর্সের বিষয়ে তিনি বলেন, অন্য যে কেউ হলে বোধ হয় পাগল হয়ে যেত, সমস্যা ভুলে থাকার জন্য মাদকের আশ্রয় নিত বা আত্মহত্যা করত। আমি কিন্তু সব নেগেটিভকে মনের জোরে পাশ কাটিয়ে জীবনটাকে পজিটিভবলি গড়ে তুলতে পেরেছি।
এসি//