অপরাধ

রাজধানীতে একরাতেই ৩ হত্যাকাণ্ড

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: বায়ান্ন টিভি

রাজধানীতে এক রাতেই ঘটে গেছে তিনটি হত্যাকাণ্ড। মতিঝিলে আব্দুল হালিম সংগঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে, সায়দাবাদে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে কামরুল হাসান ও বাড্ডায় পারিবারিক কলহের জেরে খুন হয়েছেন সুবর্ণা আক্তার মিম। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতেই সবগুলো লাশই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয় ।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ৩টি মরদেহেরই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, কৃষি ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ষাটোর্ধ্ব আব্দুল হালিম বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সহকর্মীদের হাতে প্রাণ হারান। কর্মচারীদের সংগঠনের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে মতিঝিল কৃষি ব্যাংকের সামনে থেকে মারধর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান ব্যাংকের ভেতরেই। 

অপরদিকে, রাজধানীর বাড্ডার আফতাব নগরে ২২ বছর বয়সী সুবর্ণা আক্তার মিমকে ছুরিকাঘাত করে তারই স্বামী শেখ সোহেল। পারিবারিক কলহের কারণে বিয়ের দুই বছরের মাথায় খুনের শিকার হতে হলো মিমকে। জানা গেছে তাদের দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। 

এখানেই ঘটনার শেষ নয়, বেশকিছুদিন ধরেই বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাবার পরিকল্পনা করছিলেন ২৩ বছরের যুবক কামরুল হাসান। সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবার পর বুধবার রাতে রায়েরবাগের বাসা থেকে রওনা হয়েছিলেন সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের উদ্দেশ্যে। পথে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ব্রিজের উপরে নেমে সায়দাবাদ ঢাল দিয়ে হেঁটে নিচে নামার সময় দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কামরুল। ছিনিয়ে নেয়া হয় ৭ হাজার টাকা ও ১টি মুঠোফোন। মুমূর্ষু কামরুলকে স্থানীয়রাই নেন হাসপাতালে। তবে বাঁচানো যায়নি তাকে। পুলিশ ছিনতাইয়ের ঘটনা বললেও, স্বজনদের দাবি, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক জানান, মতিঝিলে কিল ঘুষিতে এক বৃদ্ধ, আফতাব নগরে গৃহবধূ হত্যা, যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন হয়েছেন। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করে পৃথক ৩টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

জেডএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন হত্যাকাণ্ড | রাজধানীতে | ছিনতাইকারী | সায়দাবাদে | বাড্ডায় | খুন