দেশে নিত্যপণ্যের মতোই হুহু করে বাড়ছে ওষুধের দাম। সরকার ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বেঁধে দিলেও তা মানছেন না ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে স্বজনরা।
জুন-জুলাইয়ের পর সেপ্টেম্বরেই অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। আমদানি করা ওষুধের দামও নিয়ন্ত্রণে নেই।
রোগীর স্বজনরা জানান, দাম বাড়ায় সব ওষুধ কেনা সম্ভব হচ্ছেনা তাদের পক্ষে। এতে করে পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছেনা রোগীরা। সংকট দেখিয়ে বেশি দামে ওষুধ বিক্রির অভিযোগও করছেন তারা।
চলতি বছরের ৮ জুন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের টেকনিক্যাল সাব-কমিটির সভায় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এ ধারাবাহিকতায় ৩০ জুন ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটির ৫৮তম সভা হয়। ওইদিন ২০টি জেনেরিকের ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যারাসিটামলের ১০টি ও মেট্রোনিডাজলের ছয়টি জেনেরিকের দাম বেড়েছে।
মেট্রোনিডাজল ২০০ এমজি ৪০ পয়সা বেড়ে এক টাকা হয়েছে। ২৪ টাকা ১০ পয়সার এমোক্সিলিন বিপি ৫০০ এমজি ইঞ্জেকশনের দাম বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। এছাড়া জাইলোমেট্রোজালিন, প্রকোলেপেরাজিন, ডায়াজেপাম, মিথাইলডোপা, ফেরোসের মতো জেনেরিকের দাম ৫০ থেকে শতভাগ বেড়েছ। এভাবে ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বেড়েছে। কিন্তু বাজারে সব কোম্পানি নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার আজিজ আহম্মেদ খান বায়ান্ন টিভিকে জানান, দাম বাড়ায় নিন্মমানের ওষুধ কিনছেন রোগীরা। এতে ডাক্তারদেরও সঠিক চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক জানান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে দেশের নিম্ম আয়ের মানুষের সমস্যা বিবেচনা করে সরকারি ভাবে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরনের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানি সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। এই অবস্থায় শুধু সরকারি ভাবে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরন নয় , ওষুধের দাম নির্ধারনে নজরদারী বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
আসাদ ভূঁইয়া