অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে মুখিয়ে আছেন নোভাক জকোভিচ। কিন্তু এজন্য তাকে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সাথে জটিলতার অবসান ঘটাতে হবে। জানালেন টুর্নামেন্ট প্রধান ক্রেইগ টিলে।
এবারের আসরে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়রা নিরপেক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন বলে টিলে নিশ্চিত করেছেন।
এ বছর ভ্যাকসিন সংক্রান্ত জটিলতায় অস্ট্রেলিয়ায় উপস্থিত হয়েও শেষ পর্যন্ত কোর্টে নামার অনুমতি পাননি ওই সময়ের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড় জকোভিচ। নয়বারের চ্যাম্পিয়ন সার্বিয়ান এই তারকা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন। জকোভিচ যখন ভ্যাকসিন ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে গিয়েছিলেন তখন ক্ষমতায় ছিল রক্ষনশীল সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে বামপন্থী সরকার ক্ষমতায় আসায় এখন জকোভিচের বিষয়টি নিয়ে তারা নতুন করে ভাবতে পারে। যদিও এ ব্যপারে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
টিলে জানিয়েছেন তিনি সম্প্রতি লেভার কাপে জকোভিচের সাথে কিছু সময় কাটিয়েছেন। ঐ সময়ই সার্বিয়ান এই নাম্বার ওয়ান জানুয়ারিতে মেলবোর্নে ফেরার ব্যপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বলে টিলে উল্লেখ করেছেন।
টিলে আরো জানিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক আগ্রাসনের সাথে জড়িত কোন দেশের খেলোয়াড়দের ব্যপারে তাদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে না, যেটা ছিল এ বছরের উইম্বলডনে। এই মুহূর্তে রাশিয়ান ও বেলারুশের খেলোয়াড়রা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার জন্য যোগ্য বলে গণ্য হবেন। তবে তারা রাশিয়ান পতাকার প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। কিংবা তাদের জাতীয় সঙ্গীতও বাজানো হবে না। স্বতন্ত্র খেলোয়াড় হিসেবে তাদেরকে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হবে।
আয়োজকরা ২০২৩ সালের ইভেন্টে রেকর্ড ৯ লাখ সমর্থক স্টেডিয়ামে আসার প্রত্যাশা করছেন। এর আগের রেকর্ড ছিল ৮ লাখ ২০ হাজার। ইতোমধ্যেই টুর্ণামেন্টের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।