ফরচুন বরিশাল নির্ভীক ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত। সিলেটেও সেই ধারা অব্যহত আছে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাটিতে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বরিশাল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে তামিম ইকবালের দল।
বরিশালের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল মামুলি। যা টপকাতে কাইল মায়ার্স ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটই বড় ভূমিকা রেখেছে। মায়ার্স ও হৃদয় ১১৬ রানের জুটি গড়েন। জয়ে দ্বারপ্রান্তে রেখে ২৭ বলে ৪৮ রানে বিদায় নেন হৃদয়। তার ইনিংসে ছিল ৮ টি চার ও ২ টি ছয়ের মার। অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স। ৩১ বলে ৫৯ করা মায়ার্স খেলেন ৫ টি চার ও ৪ টি ছয়ের মার।
এর আগে অবশ্য প্রথম বলেই তামিমের উইকেট হারিয়েছে বরিশাল। রাকিম কর্নওয়ালের শিকার হয়ে ফিরেছেন বরিশাল অধিনায়ক। পরের ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের ডেলিভারিতে ৪ রানে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম ইনিংসে, এখনো জয়ের দেখা না পাওয়া সিলেট শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে। কাইল মায়ার্সের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ হন রনি তালুকদার। একাদশে সুযোগ পাওয়া রাহকিম কর্নওয়াল চারটি চারে ১৮ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
রান তোলার চেষ্টা অবশ্য ছিল। তিনে নামা জাকির হাসান খেলেছেন ২৬ বলে ২৫ রানের ইনিংস। জর্জ মুনশি খেলেছেন ক্যামিও। তার ব্যাটে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১৩ বলে ১৮ রান আসে।
অ্যারন জোনস ও জাকের আলী অনিক সিলেটের পক্ষে ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। তবে অধিনায়ক আরিফুল হক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। ২৯ বলে ৩৬ রান করে বিদায় নিয়েছেন এই ব্যাটার। ফাহিম আশরাফের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আরিফুল ফিরলে, তার পরের বলেই আল-আমিনকে ফেরালে অলআউট হয় সিলেট।
তবে সিলেটের মিডল অর্ডার ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। যে কারণে বিশ ওভার খেলার সক্ষমতাও হয়নি দলটির। বরিশালের হয়ে ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন জাহানাদাদ খান ও রিশাদ হোসেন।
এম এইচ//