যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মূলত উন্নত চিকিৎসার জন্য তার এই লন্ডন যাত্রা।
চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। সামনা-সামনি দেখাও হয়নি মা-ছেলের। অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর পর সেই অপেক্ষার অবসান হলো; সরাসরি দেখা হলো মা ও ছেলের। মাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান; সেখানে সৃষ্টি হয় এক আবেকঘন পরিবেশের।
এসময় তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাকে কাছে পেয়ে গলা জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান। এসময় তারেক রহমানকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। মা-ছেলের এ মধুর মুহূর্ত এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ হলো।
স্থানীয় সময় বুধবার, সকাল ৯ টা ৫ মিনিটে তারা খালেদা জিয়াকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
এছাড়াও, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হজরত আলী খান বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসন সবশেষ ২০১৭ সালে লন্ডন সফর করেন। এর মাঝামাঝি সময়ে খালেদা জিয়া ও তার ছেলের মধ্যে সরাসরি দেখা হয়নি।
আজ, খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত হন।
এর আগে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বিশেষ সহায়তা হিসেবে রাজ পরিবারের পাঠানো অত্যাধুনিক চিকিৎসা-ব্যবস্থা সম্বলিত একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের হিথরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা হন বিএনপির চেয়ারপার্সন।
এর আগে রাজধানীর গুলশান -২ নম্বরের ৭৯ নম্বর রোডস্থ বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টায় তার গাড়িবহর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হলেও ৯টা পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড়ে বেগম জিয়ার গাড়ি বহর গুলশান ২ নম্বর গোল চত্বর অতিক্রম করতে পারেনি। রাস্তায় দুই ধারে হাজার-হাজার সাধারণ মানুষ দু’হাত তুলে তাদের প্রিয় নেত্রীকে সুচিকিৎসায় বিদেশ-যাত্রাকালে বিদায় জানায়।
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ব্যাক্তিগত চিকিৎসক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন মোট ১৬ জন।
বিএনপির মহাসচিবসহ দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ বিমানবন্দরে দলীয় নেত্রীকে বিদায় জানান।
এম এইচ//