ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম করে পূর্বাচলে প্লট নেয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার কন্যা সায়মা ওয়েজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ দুজনের সাথে আসামি করা হয়েছে রাজউক ও গণপূর্তের সেসময়কার শীর্ষ আরও ১৪ কর্মকর্তাকে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
জানা যায়, মায়ের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ প্লট পেয়েছিলেন পুতুল। প্রাথমিক তদন্তে এসবের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। পুতুলকে ১ নম্বর ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২ নম্বর আসামি করে মামলা করেছে দুদক।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান।
এর আগে এ সংক্রান্ত অভিযোগে বলা হয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের বিশেষ ক্ষমতাবলে শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিজের ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, বোনের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপান্তির নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০০৩ নম্বর রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
গত ৮ জানুয়ারি দুদক মহাপরিচালক জানিয়েছিলেন, ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দের বিষয়ে তাদের অনেক অগ্রগতি আছে। অনুসন্ধান দল এ নিয়ে অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
আই/এ