বিনোদন

হামলাকারী ভীষণ হিংস্র ছিলো, ঘটনার বর্ণনা দিলেন কারিনা

পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেয়ার পর সংবাদমাধ্যমেও মুখ খুললেন করিনা কাপূর খান। চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। নিজেকে কোনও মতে সামলেছেন। সেই অবস্থানেই তিনি জানিয়েছেন, দুই শিশুপুত্র এবং বাড়ির মহিলাদের বাঁচাতেই নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সাইফ আলি খান। “আক্রমণকারী মারাত্মক হিংস্র। নৃশংস ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সাইফের উপরে! এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছিল।”

করিনা বলেন, ‘আমাদের ছোট ছেলে জেহ-কে হামলাকারীর হাত বাঁচাতে চেষ্টা করছিল সাইফ। সেই কারণেই হামলাকারীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। অত্যন্ত আগ্রাসী ছিল সেই হামলাকারী। তবে আমারা কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ১২ তলায় উঠে যাই।

ঘটনার দিন রাত পর্যন্ত কারিশ্মা এবং রিয়ার সঙ্গে ছিলেন করিনা। রাত ১টা নাগাদ তিনি বান্দ্রার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে ফেরেন। রিয়া কাপুরের গাড়িচালক তাকে ড্রপ করে দেন। কারিনা যখন বাড়ি ফেরেন, হামলাকারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় ঘরের অন্দরে।

তিনি পুলিশকে বলেন, ‘আমি ১১ তলায় উঠে দেখি হামলাকারী ঘরে ঢুকে পড়েছেন। সে ভীষণ আগ্রাসী ছিল। তার হাত থেকে জেহ এবং ওর ন্যানিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল সইফ। সে সময়েই ওঁর উপর হামলা করে আততায়ী।’

চিকিৎসকদের মতোই করিনাও জানিয়েছেন, অভিনেতার শরীরে মোট ছয়টি জখম তৈরি হয়েছিল। সে রাতে সাইফ যেন রক্তস্নান করে উঠেছিলেন! তবে তিনি সজাগ হয়ে যাওয়ার কারণেই হোক বা অন্য কোনও কারণে, পটৌদী প্যালেস থেকে কোনও কিছুই খোয়া যায়নি। অভিনেত্রীর কথায়, “আক্রমণকারী কিছুই চুরি করতে পারেনি।

এর পরেই কারিনা এবং জেহকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যান দিদি কারিশ্মা কাপূর। তবে তার দিদি কখন, কী ভাবে খবর পেয়ে এসেছিলেন, সে কথা অবশ্য জানাননি কারিনা। মাত্র আট বছরের  তৈমুর ছিল বাবার সঙ্গে। সাইফ নিজে স্থানীয় এক অটোয় উঠে বসেন। চালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান। তৈমুরের হাত তখনও সাইফের হাতের মুঠোয়। অভিনেতার পরিচয় জেনে নিমেষে তাদের নিয়ে তিনি পৌঁছে যান লীলাবতী হাসপাতালে। দ্রুত শুরু হয় সাইফের চিকিৎসা।

আতঙ্কের রেশ নিয়েই প্রতি দিন ভোর হচ্ছে পটৌদী প্যালেসে। দ্রুত সুস্থতার পথে এগোচ্ছেন সাইফ। আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ তিনি। শুক্রবার অল্প হেঁটেছেন চিকিৎসকদের পরামর্শে। যদি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি এখনও।

 

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কারিনা | সাইফ