অনেক আশা আর নতুনত্ব নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর। মাঠের খেলা শুরুর আগে বিসিবি থেকে নানারকম আয়োজন ছিল। তবে একেবারে খেলা গড়ানোর পর থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকে বিপিএল। যেখানে আছে অব্যবস্থাপনা, টিকিট পাওয়া নিয়ে দর্শকদের হতাশা, পারিশ্রমিক ইস্যুতে খেলোয়াড়দের অনুশীলন করতে আপত্তি- এমন নানাকিছু।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
বিপিএলের টিকিট নিয়ে দর্শকদের বিশৃঙ্খলা নিয়ে সুজন বলেন, ‘যা হচ্ছে ভালো কিছু হচ্ছে না এবং আমরা গোছানো বিপিএল আয়োজনে ব্যর্থ। টিকিট নিয়ে সংকট, মানুষের চেঁচামেচি; বাংলাদেশের মানুষ কয়জন অনলাইন থেকে টিকিট কিনতে পারে? রিকশাওয়ালা কি অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবে, সে খেলা দেখবে না? আমরা তো এখনও ওই স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছাইনি। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। কালোবাজারি বন্ধ করতে গিয়ে এটা করবেন তো সেই কালোবাজারি বন্ধ করতে পারলেন?’
চট্টগ্রামে নিজেদের প্রথম অনুশীলন করতে আপত্তি জানিয়েছিল দুর্বার রাজশাহী। এর পেছনের কারণ হিসেবে জানা যায়, বিপিএলে যে পারিশ্রমিক পাওয়ার কথা ছিল- তা পায়নি খেলোয়াড়েরা। সেসময় ‘অনুশীলন বর্জন’ ধরনের কথা ভেসে আসছিল বিভিন্ন মাধ্যম থেকে।
এসব নিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালস কোচ বলেন, ‘বিপিএলে ছয় ম্যাচ হওয়ার পর একটা দল বলছে তারা (খেলোয়াড়) আর খেলবে না। কারণ তারা প্রাপ্য টাকা পায়নি। এটা তো আমাদের জন্য আসলেই লজ্জাজনক। ব্যাংক গ্যারান্টি কোথায়? বিসিবি কেন ব্যাংক গ্যারান্টি ভাঙিয়ে টাকা দিয়ে দিচ্ছে না? আমার কথা হচ্ছে বিসিবির বিপিএল গভর্নমেন্ট বডির কাজটা কী তাহলে? একটা টিম করতে মিনিমাম ৮ কোটি টাকা লাগবে। আমার কাছে ৮ কোটি টাকা না থাকলে আমি বিপিএলের টিম কিনব কেন? আমি তো মানুষের আশায় কিনিনি যে, মানুষ আমাকে স্পন্সর দেবে। আপনি তো স্পন্সর পেতেও পারেন, না-ও পেতে পারেন।’
এমএইচ//