আন্তর্জাতিক

২০ জানুয়ারি শপথ নিবেন ট্রাম্প

ট্রাম্প আতঙ্কে লাখো অভিবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ জানুয়ারি শপথ নিবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

পানামা খাল দখল করা, গ্রিনল্যান্ড কেনা, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা, বিদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর অধিক কর আরোপের হুমকী। নির্বাচনে জেতার পর থেকেই ট্রাম্পের হুমকী-ধামকিতে যেন অস্থির পুরো বিশ্ব। মার্কিন মসনদে না বসতেই পুরো বিশ্বকে অস্থির করে রাখা ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন সোমবার।   

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন, এনবিসি বলছে, শপথের দিনে ট্রাম্প মোট এগারোটি নির্বাহী আদেশে সই করবেন। আর কলমের এই খোঁচায় কপাল পুড়তে যাচ্ছে দেশটিতে থাকা লাখ লাখ অভিবাসীর। অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ বন্ধের বিষয়টি থাকছে এই  আদেশে।

এছাড়া বাইডেন আমলের মুক্ত সীমান্ত নীতি, কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার মামলায় আসামীরাও মুক্তি পেতে পারেন। নির্বাচনে হেরে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা গুরুত্বপুর্ণ এই ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।    

এনবিসি’র প্রতিবেদনে আরো বলা হচ্ছে, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের ঠিক কয়েকদিন আগে নিউ ইয়র্ক সিটিতে একটি নির্বাচনি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে ট্রাম্প প্রতিজ্ঞা করেন অপরাধীদের যুক্তরাষ্ট্র  থেকে বের করে দেয়াজন্য মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিতাড়ন কর্মসুচি চালু করবেন।   

২০২২ সালের সরকারী এক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ অভিবাসী অবৈধভাবে আমেরিকায় বসবাস করছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকে অভিবাসেই বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আছে।    

এছাড়াগেল নভেম্বরে এনবিসি’র এক অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘গণ বিতাড়নের’ মত এত বড় একটি কর্মসুচির খরচ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ব্যয়ের বিষয়টি এখানে মুখ্য নয়। সেই একই মাসে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানান, গণ বিতাড়ন কর্মসুচি সফল করতে জাতীয় জরুরী অবস্থা জারির পাশাপাশি সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে। 

অভিবাসীদের বের করে দেয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসুত্রে নাগরিকত্ব লাভের বিধানটিও ছেঁটে ফেলবেন। গেল ডিসেম্বরে এনবিসির একটি অনুষ্ঠানে, শপথের প্রথম দিন জন্মসুত্রে নাগরিকত্বের নিয়ম বাতিল করবেন কিনা, উপস্থাপক ক্রিশ্চেন ওয়েলকার ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, অবশ্যই। চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছিলো। তবে এই নিয়ম বাতিলে কিছুটা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন ট্রাম্প।

 

এনএস/  

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ট্রাম্প