স্পেন এবং পর্তুগালের সাথে ২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ মরক্কো। তাই দেশটির পর্যটনের আবেদন বাড়াতে ৩০ লাখ পথকুকুর নিধনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী প্রাণী কল্যাণ সংস্থা এবং কর্মীদের সমালোচনা করেছে।
ডেইলি মেইল রিপোর্টে বলা হয়েছে, মরক্কোর কর্তৃপক্ষ বিপথগামী কুকুরের সংখ্যাকে মোকাবেলা করার জন্য অমানবিক এবং সম্ভাব্য অবৈধ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত বিষাক্ত স্ট্রাইকনাইন দিয়ে বিষ প্রয়োগ করা, পাবলিক স্পেসে কুকুর গুলি করা এবং বেলচা দিয়ে বেঁচে থাকা প্রাণীদের পিটিয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রাণী সুরক্ষা জোট মরক্কোর এই কার্যক্রমের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করেছে। তারা বলেছে, বিশ্বকাপের জন্য ৩০ লাখের বেশি কুকুরকে হত্যা করা হতে পারে। প্রাণী অধিকারকর্মী জেন গোডঅল এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ফিফার প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি মরক্কো এমন অমানবিকভাবে কুকুর নিধন অব্যাহত রাখে তাহলে তাদের যেন আয়োজকের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
এক সময় ক্যাঙ্গারুদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে অস্ট্রেলিয়ায় আকাশপথ থেকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ক্যাঙ্গারু হত্যার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। এবার ফুটবল বিশ্বকাপের পাঁচ বছর আগে পথকুকুরদের সংখ্যাধিক্য সামলাতে মরক্কো প্রশাসনের নির্মম সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল।
২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে আমেরিকা, মেক্সিকো ও কানাডায়। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ হবে মরক্কো, পর্তুগাল, স্পেন, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতে। সেই বিশ্বকাপের আগে মরক্কোকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সে দেশের সরকার উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু দেশকে বিদেশি পর্যটকদের কাছে মেলে ধরতে সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে নাকি পথকুকুর! তাই দেশের রাস্তাঘাট সারমেয় হীন করতে ৩০ লাখ পথকুকুর মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার, উঠছে অভিযোগ।
জেএইচ