হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ২১ জানুয়ারি। ২৬ জানুয়ারি স্ত্রী কারিনা কাপূর খানকে নিয়ে বাড়ির বাইরে পা রাখলেন সাইফ আলি খান। সেই ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল। হামলার পরে অভিনেতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া। পুলিশ কর্মীরা ঘিরে রেখেছিলেন তাকে। কারিনাকে ঘিরে নিরাপত্তারক্ষীদের অতটা বাড়াবাড়ি অবশ্য দেখা যায়নি।
অভিনেত্রীকে এ দিন ধূসর সোয়েটশার্ট আর কালো ট্র্যাক প্যান্টে দেখা যায়। মাথায় কালো টুপি। সাইফ গাঢ় নীল টি শার্ট আর ডেনিম প্যান্ট পরেছিলেন। দেখে বোঝার উপায় নেই, ১৬ জানুয়ারি তিনিই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে ডান কানের নীচে, ঘাড়ের কাছে একটি ব্যান্ডেজ দেখা গেছে স্পষ্ট। দু’জনেই অত্যন্ত দ্রুত গতিতে নির্দিষ্ট গাড়িতে উঠে পড়েন। তাদের গাড়ির আগে ছিল পুলিশের গাড়ি।
এ দিকে অভিনেতার উপরে হামলার তদন্তে নয়া মোড়। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দীনেশ রাওয়ের দাবি, লীলাবতী হাসপাতাল বান্দ্রা পুলিশকে জানিয়েছিল, ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম অভিনেতা। কিন্তু ফরেন্সিক তদন্ত অনুযায়ী, সাইফের শরীরের ক্ষতগুলি কোনও ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে হয়েছে। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যবিমা সংস্থার থেকেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা ভোগ করছেন অভিনেতা, এমনও অভিযোগ জন্ম নিয়েছে।
অভিযোগের আঙুল তুলেছে মুাম্বইয়ের অ্যাসোসিয়েশন অফ মেডিকেল কনসালট্যান্টস। ছুরিকাহত তারকাকে শুশ্রূষা দিতে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিলে। তার সুচিকিৎসার জন্য রাতারাতি ২৫ লাখ টাকা মঞ্জুর করে তার স্বাস্থ্যবিমা সংস্থা।
View this post on Instagram
ঘটনার পর সাইফের বাড়ি সংগ্রহ করা হয়েছে ১৯টি আঙুলের ছাপ। এতগুলি ছাপের মধ্যে একটির সঙ্গেও মিল নেই শরিফুলের হাতের ছাপের। জানা গিয়েছে, ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদের ১০টি আঙুলের ছাপ পাঠানো হয়েছিল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। মহারাষ্ট্র সিআইডি-র ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে জানা যাচ্ছে, সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি নমুনার একটিও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, আদৌ শরিফুলই সইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন তো? না কি শরিফুলের বাবা সন্দেহই ঠিক।
জেএইচ