আফগানিস্তানের তিনটি প্রদেশে টানা ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯-এ পৌঁছেছে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহ প্রদেশে, যেখানে বন্যায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম গালফ টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ফারাহ, হেলমান্দ ও কান্দাহার প্রদেশে এই প্রাণহানি হয়েছে। ফারাহতে আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘর ধসে পড়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নাসরুল্লাহ নামে ৫০ বছর বয়সী এক কৃষক বলেন, ‘ভয়াবহ এই বন্যায় আমার সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। খামার ও জমি সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে।’
আরেক কৃষক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘আমার ষাট বছরের জীবনে এত শক্তিশালী ঝড়, বৃষ্টি ও বাতাস দেখিনি। ঝড়ের তীব্রতায় কাঠের তৈরি বস্তু ও বেড়া ৩০-৩৫ মিটার দূরে উড়ে গেছে।’
অন্যদিকে, হেলমান্দ প্রদেশে বজ্রপাতে এক শিশুসহ ছয়জন এবং কান্দাহার প্রদেশে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, মারাত্মক বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যাকবলিত ফারাহসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে দীর্ঘমেয়াদী খরা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আবদুল্লাহ জান সায়েক জানিয়েছেন, ‘বৃষ্টিপাতের ফলে দীর্ঘদিনের খরা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এটি পানির সরবরাহ বাড়াবে, কৃষি উন্নত করবে এবং পশুপালনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
এসি//