নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ১০টি মোটরসাইকেল। ভাঙচুর করা হয় ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ পুরাতন থানার সামনে শিরাইল-নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ও জেলার সাবেক সহআইন সম্পাদক শাহ আলম মানিকের শতাধিক অনুসারী পিস্তল, রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় আদমজী সড়কে বন্ধ ছিল যান চলাচল।
এ বিষয়ে মনির হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ইপিজেডে ১৭টি কারখানায় ঝুট ব্যবসা করেন। তাঁর পক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি এবং যুবলীগের পানি আক্তার একচেটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। বৃহস্পতিবার আমার লোকজন ইপিজেডের ইউনিভার্সেল কারখানায় কিছু মালপত্র সরবরাহে গেলে সাগরের ক্যাডাররা মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে তারা জড়ো হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
তিনি বলেন, সাগরের ফুফাতো ভাই সোহাগ ডিএনডি ক্যানেলের ওপর থেকে তার অনুসারীদের ওপর গুলি করেন। তারা ১৪-১৫ সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন। পরে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করে।
রাকিবুর রহমান সাগর পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলেও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী রয়ে গেছে। তারা বিকেলে কয়েকজন ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা চালালে এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করেন।
আই/এ