ক্যাম্পাস

ধর্ষণে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তিসহ ৫ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের

দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত ধর্ষণের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ থেকে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন।

পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো-

১. মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুটির মামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন, ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা এবং এক মাসের মধ্যে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

২. প্রতিটি ধর্ষণ মামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত মামলার কার্যক্রম শেষ করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

৩. নারী ও শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।

৪. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন ও সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। সারা দেশে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৫. ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার বুলিং–সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞায়ন করতে হবে।

এদিকে, রোববার (৯ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’, ‘তুমি কে আমি কে আসিয়া আসিয়া’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না’, এসব স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে নয়, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ধর্ষণে