আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনের সব জিম্মি উদ্ধার, ৩৩ সন্ত্রাসী নিহত

বায়ান্ন আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ছবি: দ্য ডন

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বোলান জেলার কাছে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন জিম্মির ঘটনায় সব যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিদ্রোহীদের ৩৩ জনই নিহত হয়েছেন। সব জিম্মিকে উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের সবাই নিহত হওয়ার পর  সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বুধবার(১২ মার্চ) সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) এবং স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের উদ্ধার করে।

দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন’র প্রতিবেদনে বলা হয়,  পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লে. জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, এই অভিযানের ফলে ৩৩ জন বিদ্রোহীর সবাই নিহত হয়েছেন এবং সব জিম্মিকে পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদভিত্তিক  বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দুনিয়া  নিউজ এর অন ‘দ্য ফ্রন্ট শো’তে  আইএসপিআর এর মহাপরিচালক বলেন, ১১ মার্চ রাত ১টার দিকে সন্ত্রাসীরা রেললাইন উপড়ে ফেলে ট্রেনটিকে থামায় যা সন্ত্রাসবাদের এক নৃশংস ঘটনা। ওই ট্রেনে ৪৪০ জন যাত্রী ছিল বলে রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।  দুঃখজনকভাবে সন্ত্রাসীদের বর্বরতার কারণে ২১ যাত্রী নিহত হন।

লে. জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী আরও বলেন, যেস্থানে এই জিম্মির ঘটনা ঘটেছে সেখানে পৌঁছানো খুবই কঠিন। তারপরও নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং জিম্মিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ দক্ষতা ও সতর্কতার সঙ্গে এটি পরিচালনা করে।

লে. জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে অভিযানের সময় আফগানিস্তানে থাকা তাদের সমর্থক এবং মূল পরিকল্পনাকারীদের সাথে যোগাযোগ রেখেছিল।

নিরাপত্তা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, মঙ্গলবার(১১ মার্চ) বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় জাফর এক্সপ্রেস নামে যাত্রীবাহি ট্রেনটি। বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার দূরে বোলান জেলার মাশকাফ টানেলের কাছে আসলে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন যাত্রী ছিল। এলাকাটি দুর্গম অঞ্চলে হওয়ায় অভিযানটি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ট্রেনটির যাত্রীদের জিম্মি করা হয়েছে সেখানে একটি টানেল রয়েছে এবং এটি আফগান সীমান্তের কাছে অবস্থিত। 

ট্রেনটির যাত্রীদের জিম্মি করার বিষয়টি স্বীকার করে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন জিম্মি