অবশেষে বাংলাদেশে এসেছেন হামজা চৌধুরী। জল্পনা-কল্পনার অবসানই বলা চলে একে। লাল-সবুজের জার্সি পরে মাঠে দৌড়ে বেড়াবেন আর মাঠের বাইরে থেকে এ দেশের সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ভাসবেন। বাংলাদেশ দলকে আরও একটু শক্ত অবস্থানে দেখার আশায় স্বপ্ন বুনছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
সোমবার (১৭ মার্চ) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন হামজা। তার সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। হামজার মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে সঙ্গে করে এনেছেন ইংলিশ লিগ মাতানো এই ফুটবলার।
হামজার বাবার নাম দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরী, মায়ের নাম রাফিয়া চৌধুরী। জানা যায়, হামজার জন্মগত পিতা একজন ক্যারিবিয়ান নাগরিক। যখন হামজার বয়স ১ বছর, তখন রাফিয়া চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয় মোর্শেদ চৌধুরীর। এরপর থেকে মোর্শেদ-রাফিয়ার সন্তান হিসেবেই বড় হয়ে উঠেছেন হামজা। হামজা ছাড়াও এই দম্পত্তির আছে আরও তিন সন্তান; তাসনিম, মেহেদী ও মাহী।
হামজার জন্ম ইংল্যান্ডে, তার বেড়ে ওঠাও সেখানে। হামজার স্ত্রী অলিভিয়া ফাউন্টেইন। যিনি একজন ব্রিটিশ নারী। জানা যায়, ২০১৬ সালের হাইস্কুল জীবন থেকে অলিভিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হামজার। এরপর একটা সময় তারা বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। অলিভিয়া ব্রিটেনের একজন পেশাদার ইন্টেরিওর ডিজাইনার।

হামজা ও অলিভিয়ার পরিবারে আছে ৩ সন্তান; এক কন্যা ও দুই পুত্র। তার প্রথম সন্তান কন্যা এনায়া হোসেন চৌধুরী। তার জন্ম হয় ২০১৮ সালে। দ্বিতীয় সন্তান পুত্র ঈসা হোসেন চৌধুরী। তার জন্ম ২০২০ সালে। তৃতীয় সন্তান পুত্র ইউনুস হোসেন চৌধুরী, তার জন্ম ২০২৩ সালে।
হামজার বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে। আজ সিলেট বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পরিবারসমেত সেখানেই গেছেন তিনি। সেই গ্রামে এখন উৎসব-মুখর পরিবেশ। গ্রামের রাস্তাগুলোতে তোরণ বানানো হয়েছে, হামজার বাড়ি রঙিনভাবে সাজানো হয়েছে।
আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে, সেই ম্যাচে অভিষেক হবে হামজার। গ্যালারিতে বসে হামজার ম্যাচ উপভোগ করবে তার পরিবার। আর পুরো বাংলাদেশের ফুটবলভক্তদের নজর থাকবে সেই ম্যাচে হামজা ও লাল-সবুজের প্রতিটি খেলোয়াড়ের দিকে।
এমএইচ//