আইন-বিচার

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সাজা সর্বোচ্চ ৭ বছর

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) নতুন এ বিধান রেখে উপদেষ্টা পরিষদে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান , আইনে বলাৎকার ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ব্যাপারে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা বাড়িয়ে ৭ বছর করা হয়েছে। এটি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলার মধ্যেই থাকবে। তবে একই আইনের মধ্যে আলাদাভাবে এটিকে রাখা হয়েছে।

 প্রেস সচিব বলেন, সরকারি কাজের দরপত্রে দুনীতি কমাতে ও স্বচ্ছতার জন্য এখন থেকে সরকারি কাজ শতভাগ টেন্ডারে হবে। এতদিন ৬০ শতাংশ কাজ টেন্ডারে হতো।

 

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও তিন পার্বত্য জেলায় চৈত্র সংক্রান্তিতে নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার বা সমতলের আদিবাসীরাও এই ছুটি পাবেন।

এর আগে গত সোমবার (১৭ মার্চ) আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর ব্যাপারে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া সম্মতিতে এবং সম্মতি ব্যাতিরেখে ধর্ষণকে পৃথক অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সম্মতি ব্যাতি রেখে ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারের সময়সীমা কমানো হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সাজা | ৭