ধর্ষণের শিকার উল্লেখ করে তিন ঘণ্টায় চার শিশুসহ পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচজনের মধ্যে দুই শিশু ও এক কিশোরীকে ঢাকার মুগদা থানার আলাদা আলাদা এলাকা থেকে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-আমীন গণমাধ্যমকে জানান, ১৯ মার্চ ইফতারের পর ১২ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে জব্বার (৪০) নামের এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একই থানায় ১৮ মার্চ আরেকটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় পিন্টু চন্দ্র দাস নামের এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগী শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
একই থানার এসআই তহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৮ মার্চ ১৫ বছরের এক কিশোরীকে তাঁর পূর্বপরিচিত সিয়াম (১৮) নামের এক যুবক ধর্ষণ করে বলে থানায় অভিযোগ আসে। এরই মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
খিলগাঁও থানার এসআই ইলিয়াস মাহমুদ জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীকে আলিফ সিয়াম (২০) নামের এক তরুণ বিয়ের কথা বলে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণ করেন। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার থানায় মামলা হয়েছে। এ কারণে কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য আজ ওসিসিতে আনা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে ২২ বছর বয়সী এক নারীকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
আই/এ