সরকারকে সতর্ক করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত না, যেন পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপির ইফতার আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ তিনি কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, বর্তমানে সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা হয়েছে যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। সংস্কার কখনও শেষ হয়ে যায় না, এটা চলমান প্রক্রিয়া। জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে সংস্কার টেকসই এবং কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচন আগে করা মানে পতিত স্বৈরাচারকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেয়া। রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে ফ্যাসবাদবিরোধী ঐক্যে সংশয় তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'রাষ্ট্রে রাজনীতিবিদ, সিভিল সোসাইটি ও পেশাজীবীরা একে অপরের পরিপূরক। রাষ্ট্রের সিভিল সোসাইটি ও পেশাজীবীদের ভূমিকা দুর্বল থাকলে সুস্থ ও সবল রাজনীতি আশা করা যায় না।'
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, 'পলাতক স্বৈরাচারের শাসনকালে সিভিল সোসাইটি ও পেশাজীবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ফ্যাসিবাদের সক্রিয় সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। দেশে সে সময় গুম-খুন-অপহরণ-নারী-ধর্ষণ-নির্যাতন-দুর্নীতি-অর্থপাচার, এমনকি আয়নাঘরের মতো বর্বর বন্দিশালার বিরুদ্ধেও তাদের একটি বিরাট অংশ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি কিংবা করেনি। বরং আমরা দেখেছি উল্টো ফ্যাসিবাদের পক্ষে অপকর্মের জাস্টিফাই করে নতুন ন্যারেটিভ বা বয়ান তৈরি করতে,'
আই/এ