আন্তর্জাতিক

আলোচনায় বসুন, অন্যথায় সামরিক ব্যবস্থা: ইরানকে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে দুই মাসের আল্টিমেটাম দিয়ে ইরানকে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই চিঠি পাঠানোর কয়েকদিন পরেই সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিলো ওয়াশিংটন। মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তেহরানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনায় বসুন, সমাধান করুন, অন্যথায় সামরিক ব্যবস্থা হবে একমাত্র পথ।

স্টিভ উইটকফের এই হুমকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফক্স নিউজ। আমাদের সবকিছু সামরিকভাবে সমাধান করার প্রয়োজন নেই জানিয়ে উইটকফ বলেন, ইরানের প্রতি আমাদের বার্তা হলো, চলুন আমরা বসি ও দেখি, আলোচনা ও কূটনীতির  মাধ্যমে সঠিক জায়গায় যাওয়া যায় কি না। যদি আমরা সেটা পারি, তবে তা করার জন্য আমরা প্রস্তুত। এবং যদি আমরা না পারি, তবে বিকল্প ব্যবস্থাটি খুব বেশি ভালো হবে না।

গেলো ৭ মার্চ ইরানকে একটি চিঠি দেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিঠিতে পরমাণু সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে তেহরানকে আহ্বান জানিয়েছে ট্রাম্প। আর আলোচনায় বসতে রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট।    

আর যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকি ধমকির পর রাশিয়া বলছে, ইরানের শান্তিপুর্ণ পরমাণু কর্মসুচির পুর্ণ অধিকার আছে। দেশটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পরমাণু কর্মসুচি পরিচালনা করছে। ইরানে মার্কিন হামলা হলে রাশিয়ার ভূমিকা কি হবে, এমন প্রশ্নে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানান, রাশিয়া বিশ্বাস করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সমস্যার সমাধান শান্তিপুর্ণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে হওয়া উচিত। মস্কো বিশ্বাস করে সেটা করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে। দরকার শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

এদিকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি  নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। ওয়াশিংটনে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দেশ দুটির সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পশ্চিমা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছে, ইরান পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হলে ইসরাইল ও মধ্যপ্রাচ্যে তেল উৎপাদকারী দেশগুলোর জন্য বিপদ হবে।  আঞ্চলিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  

 

এনএস/ 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইরান | যুক্তরাষ্ট্র